মহেশখালী থানার এস আই মহসিন চৌধুরী পিপিএম এর বিচক্ষণতায় মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা সুমাইয়া হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক স্বামী রমজান আলীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সুমাইয়া হোয়ানক ইউনিয়ন পানিরছড়া এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান,গত ৩ বছর আগে হোয়ানক ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকার জৈনিক রমজান আলী সাথে ইসলামি শরিয়তের বিধি বিধান মেনে তাদের বিবাহ নিবন্ধন হয়।
তাদের সংসারে ফুটফুটে ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে,ইতিমধ্যে সুমাইয়া ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
কিন্তু ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস এই পৃথিবীর মানুষ সুমাইয়াকে বাঁচতে দেয়নি! গত ১৩ মার্চ ২০২৫ ইং গভীর রাতে অসুস্থ সুমাইয়া'কে তার স্বামী ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা না করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার কারণে সুমাইয়া প্রতিবাদ করিলে ঘাতক স্বামী রমজান আলী সুমাইয়াকে শারীরিক ভাবে মারধর করে।
এতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে সুমাইয়ার পড়নের ওড়না ও মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে পেছাইয়া সুমাইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে ঘাতক স্বামী রমজান আলীর আত্নীয় স্বজন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে।
ঘটনার খবর পেয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কাইছার হামিদের নির্দেশে এস আই মহসিন চৌধুরী পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মরিয়া হয়ে উঠে।
সুমাইয়ার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানো হয়।
এস আই মহসিন চৌধুরী পিপিএম এর বিচক্ষণতায় পরিশেষে ১৪ মার্চ ২০২৫ ইং গভীর রাতে এসআই মহসীন চৌধুরী পিপিএম,এস আই ফরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম সুমাইয়ার হত্যাকারী ঘাতক স্বামীকে হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কাইছার হামিদ সুমাইয়া হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক স্বামী রমজান আলীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক স্বামী রমজান আলী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।